‘চলমান বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা (বাংলাদেশিরা) বেহেশতে আছি’- এমন মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বিষয়টি নিয়ে আবারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এটা ছিল কথার কথা। কিন্তু সাংবাদিকেরা বিষয়টি নিয়ে তাকে বিপাকে ফেলেছেন।
রবিবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশলেতের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি তো ট্রু সেন্সে বেহেশত বলিনি। কথার কথা। কিন্তু আপনারা সবাই আমারে খায়া ফেললেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা অনেকের চেয়ে ভালো আছি। বলতে পারেন বেহেশতে আছি। আর যায় কোথায়! সবাই আমারে এক্কেরে…। এই হলো বাংলাদেশের মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি কি মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব করেছি? আফটার অল আই অ্যাম আ পাবলিক ফিগার। নিশ্চয়ই আপনারা আমাকে ক্রিটিসাইজ করতে পারেন। আই ডোন্ট মাইন্ড। তবে আগামীতে সাবধান হইতে হবে। আমি খোলামেলা মানুষ। আমি শিক্ষক মানুষ। আমি যেটা মনে করি, সেটা খোলামেলা বলে ফেলি। আমার দল থেকে আমাকে ইয়ো করেছেন। পজিশনে থেকে ভালো কথা বলা দরকার। ’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সিলেটে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের কাছে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থা নিয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। সেসময় তিনি বলেন, “বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে, একটি পক্ষ এমন প্যানিক ছড়াচ্ছে। বাস্তবে এর কোনও ভিত্তি নেই। বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা বেহেশতে আছি। ”
এরপরই শুরু হয় সমালোচনা। পরদিন শনিবার বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কিন্তু তারপরও সমালোচনা থামেনি। এরপর রবিবার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী।